Wednesday, November 13, 2013

Tahsan (তাহসান)

Tahsan ( তাহসান )

তাহসান রহমান খান, বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় গায়ক, গীতিকার, সুরকার, গিটার বাদক, কী-বোর্ড বাদক, সঙ্গীত পরিচালক, অভিনেতা,মডেল এবং উপস্থাপক। তিনি তাহসান নামেই সমধিক পরিচিত।

তাহসান
তাহসান



জন্ম ১৮ অক্টোবর, ১৯৭৯, তাহসানের পৈতৃক নিবাস মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর। যদিও তিনি ঢাকায় জন্ম গ্রহণ করেন এবং শৈশব ঢাকাতেই কাটে। তাহসান পড়াশোনা করেন এ জি চার্চ স্কুলে ও সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯৯৮ সালে নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর ব্যবসায়_প্রশাসন_ইনস্টিটিউট থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে ব্যাচেলর (মার্কেটিং) ও মাস্টার (ফাইন্যান্স) ডিগ্রী লাভ করেন। ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি ফুল্ব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটা কার্লসন স্কুল অব ম্যানেজমেন্টে ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্টের উপর পড়তে যান এবং ২০১০ খ্রিস্টাব্দে মাস্টার ডিগ্রী অর্জন করে দেশে ফিরে আসেন। ২০০৬ সালের ৩ অগাস্ট তিনি বিয়ে করেন মডেল, অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা কে । এখন তাহসান এক কন্যার পিতা ।

তাহসান
Tahsan


পেশাজীবন

তাহসান ইউনিলিভারে ২০০৩-২০০৪ পর্যন্ত চাকরি করেছেন। ২০০৬ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৮ সালের জুন পর্যন্ত ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেছেন। ২০১০ এর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ ইন মার্কেটিং এ গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১০ সালের মে থেকে তিনি ইউনির্ভাসিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ বা ইউল্যাব-এ শিক্ষকতা করছেন। ২০১৩ সালে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন তাহসান।
তাহসান
তাহসান


সংগীতচর্চা

তিনি ছায়ানট থেকে ছয় বছর রবীন্দ্রসংগীত শিখেছেন। ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি ও আরো কয়েকজন যুবক মিলে গঠন করেন ব্যান্ডদল ব্ল্যাক, পরবর্তিতে তিনি ব্যন্ড দল থেকে আলাদা হয়ে নিজস্ব ধারার গানে সম্পৃক্ত হন। বিয়ের পর তাহসান, স্ত্রী মিথিলাকে নিয়ে বের করেন নিজস্ব এ্যালবাম। ২০১২ সালে তাহসান গঠন করেন তাহসান অ্যান্ড দ্য সুফিজ নামে নতুন একটি ব্যান্ড।বাংলামোটরে 'কৃত্যদাসের আবাসে' নামে তার নিজস্ব স্টুডিও রয়েছে।
তাহসান
তাহসান

তাহসানের সকল গানের লিস্ট

অ্যাল্বাম 

  • ০১)কথোপকথন (২০০৪) 
  • ০২)ক্রিত্তদাসের নির্বান (২৫ ডিসেম্বর ২০০৫) 
  • ০৩) ইচ্ছে (২৫ ডিসেম্বর ২০০৬) 
  • ০৪) নেই (২০০৭) 
  • ০৫) প্রত্তাবর্তন (ফেব্রুয়ারী ২০১১)

ব্যান্ড অ্যাল্বাম (ব্ল্যাক)
  • ০১)আমার প্রিথিবী
  • ০২)উত্সবের পরে
  • ০৩) অনুশীলন

মিক্স্ড সং (অ্যাল্বাম)
  • ০১)আশীর্বাদ (অ্যাল্বাম- দিন বদল)
  • ০২)স্রিতি (অ্যাল্বাম- অনুশীলন। ২০০২)
  • ০৩) শোকার্ত উপকুল (কোরাস ভয়েস উইথ ব্ল্যাক। অ্যাল্বাম- আগন্তুক ২)
  • ০৪) ফিরে এসো (অ্যাল্বাম- জুয়েল উইথ স্টার্স)
  • ০৫) অনন্তকালের পথযাত্রী (অ্যাল্বাম- জুয়েল উইথ স্টার্স)
  • ০৬) প্রতিগ্গা (অ্যাল্বাম- সুমন ও বোকা মানুষ্টা)
  • ০৭) কাল্পনিক প্রেম (অ্যাল্বাম- উত্সর্গ)
  • ০8) কে আকে অন্য ছবি (অ্যাল্বাম- কে আকে অন্য ছবি ?)
  • ০৯) রোদেলা দুপুর (তাহসান & মিথিলা)
  • ১0) রোদের আচর (অ্যাল্বাম- জুয়েল উইথ স্টার্স ২)
  • ১১) দখিনের জানালা (অ্যাল্বাম- বন্ধুতা। ২০০৮)
  • ১২) সে খবর আমি রাখি (অ্যাল্বাম- জুয়েল ফিচারিং পুর্নতা। ২০০৯)
  • ১৩) চাই না (২০১০)
  • ১৪) ওরা ১১ জন (তাহসান & মিথিলা। অ্যাল্বাম- চলো বাংলাদেশ)
  • ১৫) লাইট হাউস (অ্যাল্বাম- মউনো প্রতিগ্গা। ২০১১)
  • ১৬) আংগুল (অ্যাল্বাম- প্রিন্স মাহামুদ ফিচারিং অপরাজিতা। ২০১২)
  • ১৭) তুই চাইলে (প্রিন্স মাহামুদ ফিচারিং মিক্স্ড অ্যাল্বাম। ২০১৩)

মুভি
  • ০১)অগোচরে (তাহসান ফিচারিং মিথিলা। থার্ড পার্সন সিংগুলার নাম্বার। ২০০৯)

নাটক & টেলিফিল্ম

  • ০১)কোথায় আছো (আমাদের গল্প। ২০১২)
  • ০২)মেঘের পরে (মন ফড়িং এর গল্প। ২০১২)
  • ০৩) প্রথম প্রেম (মন্ִসুবা জংশন। ২০১২)
  • ০৪) কেন হঠাত এসেছিলে (নীল পরী নিলান্জনা। ২০১৩)
  • ০৫) আস্ִমানী (নীল পরী নিলান্জনা। ২০১৩)
  • ০৬) স্পর্শের বাইরে তুমি (তাহসান & এলিটা। স্পর্শের বাইরে তুমি। ২০১৩)
  • ০৭) আমি সেই সুতো হবো (অন্যরকম পরীর গল্প। ২০১৩)
  • ০8) কত দুর (নীল প্রজাপতী। ২০১৩)
  • ০৯) ট্রাফিক সিগ্ִনাল (ট্রাফিক সিগ্ִনাল। কামিং সুন) 


Tuesday, November 5, 2013

অন্ধ সেই বালক



অন্ধ সেই বালক


এক অন্ধ বালক একটি বড় ব্যাংকের সামনে বসে ছিলো। তার সামনে ছিলো একটি থালা আর হাতে ছিলো একটি কাগজ,যাতে লেখাঃ ‘আমি অন্ধ, অনুগ্রহ করে সাহায্য করুন’।

সারাটা সকাল তার থালায় মাত্র কয়েকটি পয়সাই জমেছিলো। ব্যাংকের এক চাকুরিজীবী ব্যাংকে ঢোকার সময় অন্ধটিকে দেখলো। সে তার মানিব্যাগ বের করে তাকে কিছু পয়সা দিলো, তার হাতের কাগজটি নিল এবং এর পেছনে কিছু লিখলো। এরপর ছেলেটির হাতে তা ধরিয়ে দিল যাতে সবাই নতুন লেখাটি দেখতে পায়।

এরপর আশ্চর্যজনক ভাবে সবার সাহায্যের পরিমান বেড়ে গেল। অনেক বেশি লোক ছেলেটিকে সাহায্য করতে থাকলো,তার থালাও ভরে উঠলো।বিকেলে সেই ব্যাংকার তার অফিস থেকে বেড়িয়ে ছেলেটিকে দেখতে এলো। তার গলা চিনতে পেরে ছেলেটি তাকে জিজ্ঞেস করলো,‘তুমিই কি সেই লোক যে আমার কাগজের লেখাটি বদলে দিয়েছিলে? কি লিখেছিলে তুমি?’

লোকটি বললো,‘আমিও সত্যটাই লিখেছিলাম তবে একটি ভিন্ন ভাবে।লিখেছিলাম,‘‘আজ খুব সুন্দর একটি দিন কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য আমি দেখতে পাই না।’’

দুটো লেখাই মানুষকে বলে যে ছেলেটি অন্ধ।কিন্তু প্রথমটি শুধু বলে যে সে অন্ধ।কিন্তু দ্বিতীয় লেখাটি মানুষকে বলে তারা অনেক ভাগ্যবান যে তারা অন্ধ নয়।

তোমার যা আছে তারজন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ থাকো। নতুন ভাবে চিন্তা করতে শিখো, সবার চেয়ে একটু ভিন্নভাবে কিন্তু পজিটিভ ভাবে ভাবতে শেখো। জীবন যখন তোমাকে কষ্ট পাওয়ার একশটা কারন দেয়, জীব নকে দেখিয়ে দাও যে তোমারও সুখী হওয়ার হাজারটা কারন আছে।

ভালোবাসার মানুষটিকে হারানোর ভয় ৫ টি উপায়ে দূর করুন ।





ভালোবাসার মানুষটিকে হারানোর ভয় ৫ টি উপায়ে দূর করুন । 



মেয়েটির সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছেন পাঁচ ছয় মাস হলো। এরই মধ্যে দুজন দুজনার আপন হয়ে গিয়েছেন। সারাদিন ঘুরাঘুরি, গল্প, খাওয়া দাওয়া করে বেশ সুন্দর ভাবেই কেটে যাচ্ছে দিন গুলো। কিন্তু এত ভালোবাসেন যাকে সে যদি আপনাকে ছেড়ে চলে যায়? আপনার সাথে সম্পর্ক ভেঙ্গে দিয়ে যদি সে অন্য কারো হয়ে যায়? এই ভয়টি সবসময়েই আপনাকে তাড়া করে ফেরে। আর এই অহেতুক ভয়ের থেকেই সম্পর্কে সৃষ্টি হয় বিভিন্ন রকমের জটিলতা। আর এই ভয়ের কারণে অনেক সময় সম্পর্কটাই ভেঙ্গে যাওয়ার মত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আসুন ভালোবাসার মানুষটিকে হারিয়ে ফেলার ভয় কাটিয়ে ওঠার ৫টি উপায় জেনে নেয়া যাক।


১) সঙ্গীর সাথে কথা বলুন


আপনি যাকে হারানোর ভয় করছেন তার সাথেই কথা বলুন এ ব্যাপারে। তাকে বুঝিয়ে বলুন যে তাকে আপনি কতটুকু ভালোবাসেন এবং তাকে আপনার জীবনে প্রয়োজন। তাকে এটাও বলুন যে আপনার মনে ভয় হচ্ছে যে আপনি তাকে হারিয়ে ফেলবেন। কিন্তু সেই সঙ্গে তাকে এটাও বলুন যে আপনি জানেন যে আপনার এই ভয় অযৌক্তিক এবং তার উপর আপনার পূর্ণ বিশ্বাস আছে। কিন্তু তার পরেও এই ভয়টা আপনি মন থেকে দূর করতে পারছেন না। সঙ্গীর সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা করলে আপনার সঙ্গী আপনাকে অভয় দেবে এবং এতে আপনার মনের ভয় অনেকটাই দূর হয়ে যাবে।


২) বিশ্বাস করুন


যখনই আপনার মনে আপনার সঙ্গীকে হারিয়ে যাওয়ার ভয় ঢুকবে তখনই মনে প্রাণে আপনার সঙ্গীকে বিশ্বাস করার চেষ্টা করুন। সঙ্গী যদি রহস্যময় আচরণও করে তাহলেও সব কিছুরই ইতিবাচক ব্যাখ্যা দিন মনকে। জোর করে যেহেতু কাউকে আটকে রাখা যায় না তাই বিশ্বাসের বাঁধনে বেঁধে ফেলুন সঙ্গীকে। আপনার ভালোবাসার মানুষটি যদি দেখে যে আপনার তাকে বিশ্বাস করেন তাহলে আপনার বিশ্বাস ভাঙ্গতে চাইবে না সে কখনোই।


৩) আত্মবিশ্বাস বাড়ান


আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর চেষ্টা করুন। নিজের মনকে নিজে ব্যাখ্যা দিন যে আপনি কেন আপনার ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গী হিসেবে যোগ্য। আত্মবিশ্বাস থাকলে ভালোবাসার মানুষটিকে হারানোর ভয় থাকে না। শুধু শুধু ভয় না করে কিভাবে সম্পর্কটাকে আরো সুন্দর করা যায় সেটা নিয়ে ভাবুন।


৪) নিজেকেও সময় দিন


দিনের পুরো সময়টুকু ভালোবাসার মানুষটিকে দিয়ে ফেলেন অনেকেই। কিন্তু একটি মানুষ যখন আপনার সারা দিনের পুরো সময়টা জুড়ে থাকে তখন তার উপর এক ধরণের নির্ভরতা সৃষ্টি হয়ে যায় মানুষের। আর এই নির্ভরতার কারণে হারানোর ভয়টা বেশি হয়। কারণ হঠাৎ করে সেই মানুষটি চলে গেলে তাকে ছাড়া জীবন কেমন হতে পারে তা কল্পনা করার মত মানসিক শক্তিও থাকে না তখন নিজের। তাই নিজের জন্য কিছুটা সময় রাখুন। এই সময়টাতে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটান। বন্ধুদের নিয়ে বেড়াতে যেতে পারেন কিংবা পছন্দের কোনো সিনেমা দেখে ফেলতে পারেন ঘরে বসেই। অথবা সৌন্দর্য চর্চা করে কাটিয়ে ফেলতে পারেন সময়টুকু। মাঝে মাঝে একা একাই ঘুরে আসুন কোনো মার্কেট থেকে। তাহলে নিজের উপর নির্ভরতা বাড়বে।


৫) ব্যস্ত থাকুন


সব সময়েই ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করুন। অলস সময় কাটালে মানুষের মনে নানান রকমের দুশ্চিন্তা ও ভয় ঢুকে যায়। চিন্তা করার অনেক বেশি সময় পাওয়া যায় বলে এলোমেলো চিন্তা খেলে মাথায়। তাই চাকরী, পড়াশোনা কিংবা ছোটখাটো কাজ কর্ম নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন সব সময়।